‘বিজয়ের মাসে এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’ শীর্ষক এই কর্মসূচির আয়োজন করে সাতক্ষীরা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
এ সময় গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান বাবু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বলেন, বর্তমান সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সেসময় ছিল বাঙালিদের আশ্রয় স্থল। খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকার বাঙালিরা এখানে আশ্রয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বর্ডার ক্রস করতো। কিন্তু একদিন পাকিস্তানি সেনারা শহরে প্রবেশ করার সময় জানতে পারে এই স্কুলে ৭০০-৮০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তারপর পাকিস্তানি সেনারা এসে তাদের আটক করে। আশপাশের বাড়ি থেকে দা, কোদাল, শাবল সংগ্রহ করে আটককৃতদের দিয়েই স্কুলের পেছনের এই জায়গাটিতে গর্ত খুঁড়ে নেয়। পরে নিরীহ বাঙালিদের নির্যাতন ও কুপিয়ে হত্যার পর এই গর্তেই মাটা চাপা দেওয়া হয়। দুই-তিন দিন ধরে এই গণকবর থেকে করুণ আত্মচিৎকার ভেসে আসতে থাকে, মৃত্যুবরণ করে সবাই। পরে এই স্কুলেই পাকিস্তানি সেনারা টর্চার সেল স্থাপন করে। অথচ এই গণকবর সংরক্ষণে আজও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং দখল হয়ে গেছে।
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনার এই কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, সিটি কলেজ, ডে-নাইট কলেজ, পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীরা সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এই বধ্যভূমিসহ সব বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবি জানান।
আরও পড়ুন:
অবহেলায় সাতক্ষীরার গণকবর ও বধ্যভূমি, নেই স্মৃতিসৌধ