চুয়াডাঙ্গায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে শীতজনিত রোগে ২০ জনের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি শিশুরা

চুয়াডাঙ্গায় সাত দিনের ব্যাবধানে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোল্ডস্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র ও মাঝারি শৈত্য প্রবাহের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। 

সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আন্তবিভাগের মেডিসিন, শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রায় শতাধিক রোগি চিকিৎসাধীন রয়েছে। বহির্বিভাগ থেকে সাত দিনে প্রায় ১৩০০ শিশু ও নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। সাত দিনে পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ১০ জন ও মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ১০ জন কোল্ডস্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই শিশু মারা গেছে। এছাড়াও শীতজনিত অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে সাত শিশু মারা গেছে। এছাড়াও প্রতিদিনই শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সেলিমা আক্তার সিমু জানান, শিশু ও বয়স্করা শীত জনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকে মারা যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় রবিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরে তীব্র-মাঝারি শৈত প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জেলায় বেশ কয়েক দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় সারাদিন সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। বিকাল থেকে বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়ছে। মানুষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। এছাড়াও উত্তরে হাওয়া বইছে। শহরের পুরনো কাপড়ের দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র কিনতে ভিড় করছে সাধারণ মানুষ। 



আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ৪৬ রোহিঙ্গা পরিবারকে কক্সবাজারে হস্তান্তর