খুলনায় বই পড়ে পুরস্কার পেলো ৩৮০৪ শিক্ষার্থী

খুলনায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণখুলনায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্কুলভিত্তিক বইপড়া কার্যক্রম উপলক্ষে ৩৮০৪ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) খুলনা মহানগরে অবস্থিত ৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। নগরীর পিটিআই প্রাঙ্গণে গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দিনব্যাপী এ পুরস্কার  বিতরণ উৎসবের আয়োজন করেন।

সকালে পুরস্কার বিতরণী উৎসবের প্রথম পর্বে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯৪২ জন ছাত্রছাত্রী পুরস্কার গ্রহণ করে। দ্বিতীয় পর্বে পুরস্কার নিয়েছে ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮৬২ জন ছাত্রছাত্রী।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়ার কর্মসূচিকে সারা পৃথিবীর মধ্যে একটি অনন্য কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত করেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম। তিনি বলেন, ‘জীবনকে পাল্টে দিতে পারে এমন তিনটি জিনিস হলো বই, বই আর বই। পৃথিবীতে যারা বিখ্যাত হয়েছেন তারা সারাজীবন অসংখ্য বই পড়েছেন বলেই বিখ্যাত হতে পেরেছেন।’

খুলনায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণগ্রামীণফোনের খুলনা অঞ্চলের হেড অব মার্কেটিং পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কার্যক্রমের সঙ্গে গ্রামীণফোন যুক্ত থাকতে পেরে গর্বিত। একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় গ্রামীণফোন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে ভবিষ্যতেও কাজ করতে চায়।’

খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার বলেন, ‘নেশা মানুষকে ধ্বংস করে। কিন্তু একমাত্র বই পড়ার নেশাই মানুষকে সমৃদ্ধ করে। বই পড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারি।’

খুলনা পিটিআই এর সুপারিনটেনডেন্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সৈয়দা ফেরদৌসী বেগম পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীরা আরও বেশি বেশি বই পড়ুক আমি সে আশাই করবো।’

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক ও উপ-সচিব শরিফ মো. মাসুদ পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানান। তিনি ছাত্রছাত্রীদের বেশি বেশি বই পড়ার পরামর্শ দেন এবং বছরজুড়ে এই বইপড়া কর্মসূচিকে সফলভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার, বিশিষ্ট লেখক ও অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ, বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, খুলনা পিটিআই এর সুপারিনটেনডেন্ট (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সৈয়দা ফেরদৌসী বেগম, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক ও উপ-সচিব শরিফ মো. মাসুদ।