আলিফের মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ’র জন্য রক্ত দিলেন বাবা-মা

আলিকুজ্জামান আলিফনেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত আলিকুজ্জামান আলিফের মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তার বাবা-মা রক্তের নমুনা দিয়েছেন। সোমবার (১৯ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি অফিসে রক্ত দেন তারা। ইউএস বাংলার বিমাব দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়ার কারণে আলিফের লাশ শনাক্ত করা যায়নি।

আলিফের ছোট ভাই ইয়াসিন আরাফাত জানান, বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে শনাক্ত হওয়া ২৩ জনের লাশ সোমবার দেশে এসেছে। আলিফসহ তিন জনের লাশ শনাক্ত না হওয়ায় লাশ ৩টি নেপালেই সংরক্ষিত রয়েছে। এ অবস্থায় আলিফের লাশ শনাক্তের জন্য সোমবার বাবা মোল্লা আসাদুজ্জামান ও মা মনিকা বেগম মালিবাগ সিআইডি অফিসে রক্ত দিয়েছেন। এখন নেপাল থেকে লাশ ৩টির আলামত দেশে আনা হবে। এরপর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আলিফের লাশ শনাক্ত করা হবে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লাশ পেতে ৭-২১ দিন সময় প্রয়োজন হবে বলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ও সিআইডি দাবি করেছে।

ইয়াসিন আরাফাত আরও জানান, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হওয়ার পর আলিফের লাশ দেশে এনে রূপসার পৈত্রিক নিবাস আইচগাতি গ্রামের গণকবরে দাফন করা হবে। সেভাবেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ৪৯ আরোহীর মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে চার পাইলট-ক্রুসহ ২৬ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ২৩ জনকে শনাক্ত করে আজ দেশে নিয়ে আসা হয়। এদিকে রবিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ৬ জন দেশে ফিরেছেন। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তারা হলেন- শাহরিন আহমেদ মুমু, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, রাশেদ রুবায়েত ও শাহিন ব্যাপারী। বাকি চার জন সিঙ্গাপুর, নেপাল ও ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।