পছন্দের প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারণায় নামা নিয়ে শঙ্কায় কেসিসি কর্মচারীরা

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র ও কাউন্সিলর পদে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় নামতে পারা, না পারা নিয়ে শঙ্কিত কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার প্রচারণা শুরু না হলেও অনেকেই গোপনে নির্বাচনি প্রচারণায় নেমেছেন। এ ক্ষেত্রে চাকরির বিধিমালা ভঙ্গ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। তারপরও কেসিসি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কৌশলে নির্বাচনি প্রচার কাজ চালাচ্ছে বলে নগরভবনে আলোচনা উঠেছে।

কেসিসি’র অ্যাস্টেট অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন,‘চাকরি করে কারও পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া ঠিক না। তারপর কেউ কেউ নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। যা বিধিমালা ভঙ্গের সামিল।

‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬-এর ২২ ধারা অনুযায়ী সরকারি সুবিধা ভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময় নির্বাচন এলাকায় প্রচারণা ও নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।  তবে এলাকায় ভোটার হলে কেবল ভোট প্রদানের জন্য ভোট কেন্দ্রে যেতে পারবে। নির্বাচন পূর্ব সময় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা কোনও ব্যক্তি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি কাজে প্রচারযন্ত্র, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার করতে পারবেন না। এই বিধিমালার ৩১ ধারা মতে, এ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে অনধীক ৬ মাসের কারাদণ্ড ও অনধীক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।’

কেসিসির নির্বাচনি রিটানিং অফিসার মো. ইউনুচ আলী বলেন, ‘কেসিসির যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে তাদের বেতন গ্রহণ করেন তারা কোনভাবেই নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন না।’

কেসিসির সচিব ইকবাল হোসেন বলেন,‘কোনও কর্মচারীর মেয়র বা কাউন্সিলরের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নেওয়া ঠিক নয়।’

কেসিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নেতা কামরুল ইসলাম বলেন,‘অফিসের টাইমে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ না নিলেই হলো।’

কেসিসির কর ধার্য্য শাখার কর্মকর্তা শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ‘অফিস টাইমের বাইরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া যাবে।’

কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান,‘তার দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছেন।

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা বলেন,‘নাগরিক সেবা রেখে কোনও ভাবেই কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারে না।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি ভাষাসৈনিক আলহাজ্ব লোকমান হাকিম বলেন,‘ট্যাক্সের টাকায় যাদের বেতন হয় তারা নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারে না। বিষয়টি সঠিকভাবে তদারকি করার দাবি জানান তিনি।’