কেসিসি নির্বাচনে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন এ মাসেই

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনখুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অভিযোগের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মে) টানা তৃতীয় দিনের তদন্ত চলছে। তদন্তের প্রতিবেদন ২৭ মে’র মধ্যে জমা দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে, তদন্ত কমিটির প্রধান বলছেন, প্রতিবেদন দিতে অতিরিক্ত আরও দুইদিন সময় নিতে হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম-সচিব তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত এখনও চলছে। বৃহস্পতিবার তদন্তের তৃতীয় দিনের শুনানি চলছে। আরও দু-একদিন অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘স্থগিত তিন কেন্দ্রের ভোট সংশ্লিষ্টদের শুনানি মঙ্গলবার ও বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবারও শুনানি হচ্ছে। তবে, তৃতীয় দিনের শুনানিতে নির্বাচনের দিন তিন কেন্দ্রের বাস্তব পরিস্থিতি কী ছিল তা জানা ও বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশ্ন করে করে উত্তর জানার চেষ্টা চলছে। কেন্দ্র তিনটির সামগ্রিক বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য প্রতিবেদন আকারে কমিশনে জমা দেওয়া হবে। তারপর সিদ্ধান্ত কমিশনই নেবে।’

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুচ আলী বলেন, ‘তিনটি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা, ওই ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ২৪ ও ৩১নং ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্র্রে ৩০ মে ফের ভোটগ্রহণ হবে। সংরক্ষিত দুটি ওয়ার্ড এবং একটি সাধারণ ওয়ার্ডের সব প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবে।’

উল্লেখ্য, কেসিসি নির্বাচনের অভিযোগ তদন্তে ইসি কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত দল গত সোমবার খুলনায় আসে। মঙ্গলবার থেকে এ কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করে। তদন্ত কমিটির তিনজন হলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম-সচিব কমিটির প্রধান খোন্দকার মিজানুর রহমান, তদন্ত কমিটির সদস্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শাহ আলম।