ছদ্মবেশে যশোরের মাদক ব্যবসায়ীরা!

মাদকমাদকবিরোধী অভিযানের কারণে যশোরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই গাঢাকা দিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয়রা বলছেন, ছদ্মবেশে অনেকেই এলাকায় অবস্থান করছে। শহরের শংকরপুর, চাঁচড়া,  রায়পাড়া, বারান্দিপাড়া, বেজপাড়া, পুরাতন কসবা প্রভৃতি এলাকায় বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুরাতন কসবা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, কাজীপাড়া, লিচুবাগান, টালিখোলা এলাকায় যেসব মাদক বিক্রেতা রয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। মূলত তার লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এ খাতে। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বিনা বাধায় এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন তিনি। 
বারান্দিপাড়া এলাকা সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আগের মতো প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগই আত্মগোপনে বা ছদ্মবেশে রয়েছে।
শংকরপুর এলাকা সূত্রে জানা গেছে, সেখানকার মাদক ব্যবসায়ীরা আসলে ছদ্মদেশে রয়েছে। চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা গাঢাকা দিলেও প্রভাবশালীরা রয়েছে প্রকাশ্যে। ক্ষমতাসীন দলের সংস্পর্শে থাকায় এ সংক্রান্তে থানায় মামলা না থাকার সদ্ব্যবহার করছেন তারা। 
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, এই এলাকায় দুই-তিনজন রয়েছেন এমন লোক। যাদের প্রকাশ্যে রয়েছে বৈধ ব্যবসা। কিন্তু অন্তরালে ইয়াবা আর ফেনসিডিলের বড় ব্যবসা করে।
এখন ব্যবসা মূলত ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলে। খদ্দেরদের চাহিদা অনুযায়ী মোবাইল ফোনে কিছু কোড ব্যবহার করা হয়। সে অনুযায়ী দর-দাম কিংবা সরবরাহ হয়।
এ বিষয়ে জানতে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে যোগাযোগ করা হয়। সেখানকার উপপরিচালক ট্রেনিংয়ে দেশের বাইরে থাকায় অন্য কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে এসআই বদরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা আপডেট করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি তাদের টিমও এসব অভিযান পরিচালনা করছেন।’
যশোর শহরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকা ছেড়েছে বলে জানান যশোর সদরের চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর রফিকুল হক। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের তালিকাভুক্ত মাদক বিক্রেতাদের বেশিরভাগই জেলখানায়। যারা বাইরে ছিল, অভিযানকালে সব পালিয়ে গেছে। তবে আমাদের সোর্স কাজ করছে, দেখা হলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।’
একই কথা বললেন সদর ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান। দফায় দফায় পুলিশি অভিযানের কারণে তারা গাঢাকা দিয়েছে। 

আরও পড়ুন:

মাদকের মামলায় শাস্তি কী?