ডাক্তার জাহিদুল আলম কাদিরের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জাহিদ অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত কিনা সে সম্পর্কে আমাদের কিছুই জানা নেই। গত ১৫ মে জানতে পারি তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
জাহিদুল গ্রামের বাড়িতে খুব একটা যাতায়াত ছিল না বলেও জানান তিনি।
হাবিবুর রহমান আরও জানান, তার ছেলে ময়মনসিংহ এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালাতেন। তবে প্রতি মাসে জাহিদুল তাদের জন্য গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাতেন।
গ্রেফতার জাহিদুলের বাবার ভাষ্য অনুযায়ী, জাহিদুল ১৯৯২ সালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর একটি স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে ১৯৯৪ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তবে সে সময় কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না জাহিদুল। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলে সে সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তীতে ২০০২ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা করেন। জাহিদুল প্রথমে একজন চিকিৎসককে বিয়ে করেন। তবে তার প্রথম বিয়ে টেকেনি। সেখানে তার একটি সন্তান রয়েছে। পরবর্তীতে মাসুমা আক্তার নামে এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। তবে মাসুমা আক্তারের অপরাধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানা নেই বলে দাবি করেন হাবিবুর রহমান।
শাহারা বানু জানান,তার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের মধ্যে জাহিদুল সবার বড়। অন্য ছেলেমেয়ের মধ্যে দু’জন চাকরি করছেন আর এক মেয়ে গৃহিণী।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৫ মে জাহিদুল আলম কাদিরকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে দুটি পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি। পরে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে গাবতলী থেকে তার স্ত্রী মাসুমা আক্তারকেও গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘অস্ত্র সংগ্রহের শখ থেকে কন্ট্রাক্ট কিলার জাহিদুল’