বাগেরহাটে ককটেলের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত, আটক -২

উদ্ধার হওয়া ককটেল

বাগেরহাটের শরণখোলায় ককটেলের আঘাতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বৃহষ্পতিবার বিকেলে শরণখোলা উপজেলা সদরের রাজৈর বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ পাঁচটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি থেকে দলটির কর্মীদের ছোড়া ককটেলের আঘাতে পুলিশ সদস্যরা আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বিএনপির দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তবে বিএনপির দাবি পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতনের জন্য নতুন একটি নাটক তৈরি করেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, আবু জাফর ও সাগর।

গ্রেফতার হওয়া বিএনপির দুই কর্মী হলেন, শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা গ্রামের কামাল চৌকিদারের ছেলে মো. ইমরান হোসেন ইমন (২২) ও একই গ্রামের শাহ আলম আকনের ছেলে আকন অপূর্ব হাসান রণি (২৫)।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, বিকাল তিনটার দিকে বিএনপির ৩০/৪০ জন নেতাকর্মী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য জড়ো হচ্ছে এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টহল দল সেখানে যাওয়া জন্য রওনা হয়। পথে বাসস্ট্যান্ডের আগে ব্রিজের কাছে  পৌছলে তারা পুলিশের টহল গাড়ি লক্ষ্য করে তিন চারটি ককটেল ছুড়ে মারে। এরমধ্যে একটি ককটেল গাড়িতে পড়ে বিস্ফোরিত হলে আবু জাফর ও সাগর নামে দু’জন কনস্টবল আহত হন। পরে পুলিশ টহল গাড়ি থেকে নেমে ধাওয়া করে দুই যুবককে ধরে ফেলে। এসময় বিস্ফোরিত তিনটি ককটেলের খোসা এবং পলিথিনে মোড়ানে পাঁচটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। ককটেল ছোড়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাজা ককটেলগুলো নিষ্ক্রিয় করতে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

তবে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শরণখোলা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মতিয়ার রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিএনপি যাতে কর্মসূচি পালন করতে না পারে সেজন্য পুলিশ মিথ্যা ককটেল হামলার নাটক সাজিয়ে বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করেছে।