মাগুরায় প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটা তাজাকরণ, লাভের আশায় খামারিরা




খামারে গরুকে সেবাযত্ন করা হচ্ছেঈদুল আজহার আর মাত্র ৬ দিন বাকি। কোরবানির এই ঈদকে সামনে রেখে মাগুরার পশুর হাটগুলো ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে।বাজরে ক্রেতা আর বিক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাগুরার খামারিরা দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করা গরু বাজারে তুলেছেন। মাগুরায় এবার প্রায় ৬৫ কোটি টাকার গরু বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মাগুরা পশুসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদকে ঘিরে এবার ১৩১৮৭টি গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। যেখানে চাহিদা ৬৫২০টির। ফলে চাহিদার তুলনায় গরুর সংখ্যা যথেষ্ট।

মাগুরার আড়াইসাত গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমি এক বছর আগে এক লাখ টাকা দিয়ে তিনটি গরু কিনি। গরুর পেছনে এ পর্যন্ত আমার ব্যয় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে আমার গরু তিনটি আড়াই লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব এসেছে।’

সদর উপজেলার রামনগর উপজেলার পশু ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমার গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। খাবার হিসাবে খড়, চিটাগুড় এবং ইউরিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কোনও প্রকার স্টেরোয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শে শুধু গরুর ক্ষুধা বাড়ানোর কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে। গরুকে সুন্দর দেখাতে আমরা জিংক সিরাপ জাতীয় ওষুধ দিয়েছি।’

সদর উপজেলার আবালপুর এলাকার গরু ব্যবসায়ী মতি মিয়া বলেন, ‘মাগুরার গরুর অনেক চাহিদা। ইতোমধ্যেই গরু কিনতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা আসছে গরু কিনতে। যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ করা যায় তবে মাগুরার গরু খামারিরা এবার খুশিমনে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে পারবেন।’

জেলা পশুপালন কর্মকর্তা কানাই লাল সরকার বলেন, ‘আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করণের জন্য পশুপালকদেরকে সব ধরনের সগযোগিতা দিয়েছি। এছাড়াও স্টেরোয়েড ফ্রি গরু মোটাতাজা করণের জন্য আমাদের ৬টি টিম সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।’

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কোরবানি ঈদ সামনে রেখে কোনও ধরনের টোল আদায় যেন না হয় তা আমরা নিশ্চিত করেছি। এছাড়াও কোনও ধরণের চাঁদাবাজি ও আইন-শৃংখলার অবনতি যেন না ঘটে সেজন্যও আমরা সবসময় তৎপর।’