ইনজেকশন দেওয়ার পর প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতালে ভাঙচুর




ছবি: স্বামী পার্থপ্রতীমের সঙ্গে পিংকিযশোরের কুইন্স হাসপাতালে ইনজেকশন দেওয়ার পর পিংকি (৩০) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতের এ ঘটনায় হাসপাতালটিতে ভাঙচুর চালান রোগীর স্বজনরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাকিরের দাবি, ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করা ইনজেকশন না কিনে প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা ফার্মেসি থেকে ভেজাল ইনজেকশন কিনে আনেন। ওই ইনজেকশন দেওয়ার ফলেই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

মৃত পিংকি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের পুত্রবধূ। তার স্বামীর নাম পার্থপ্রতীম দেবনাথ রতি।

পার্থপ্রতীমের ভাই রানানাথ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক্তার জাকিরের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিংকি একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেয়। সন্ধ্যায় ডা. জাকির প্রসূতির জন্য ‘ওমেপ’ নামে একটি ইনজেকশন লেখেন। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের নার্স জেসমিন ইনজেকশনটি পিংকির শরীরে পুশ করেন। এর কিছু সময়ের মধ্যেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

তবে ডাক্তার জাকির জানান, রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের পাশের একটি ফার্মেসি থেকে ‘ওমিজিড’ নামের একটি ইনজেকশন কিনে আনেন, যেটি ছিল ভেজাল। এই ‘ভেজাল’ ইনজেকশন দেওয়ার কারণেই প্রসূতির মৃত্যু হতে পারে।

এদিকে পিংকির মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হন। পরে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার হাসপাতালটিতে ভাঙচুরের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

রানানাথ জানান, তার সদ্যোজাত ভাইজি সুস্থ আছে। তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পিংকির মরদেহও নিয়ে গেছেন তারা।