অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের নাগরিক, যাদের বছরে আয় ১ লাখ টাকার নিচে। সেসব ব্যক্তি বা পরিবার বিনামূল্যে মামলা চলমান রাখার সুযোগ পাবেন। দুস্থ-ভাতা ভোগীদের মামলার ব্যয়ভারও সরকার বহন করবে। যেসব ব্যক্তিবর্গ কঠিন দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত, চিকিৎসা খরচ অনেক ব্যয়বহুল— সেসব ব্যক্তিদের মামলার ব্যয়ও সরকার বহন করবে। এছাড়া যেসব মুক্তিযোদ্ধার বাৎসরিক আয় দেড় লাখ টাকার নিচে। তারাও এ সেবার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন।
বিনামূল্যে মামলার সেবা কীভাবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে জেলা ও দায়রা জজ মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা দিতে ৫৮ জন বিজ্ঞ প্যানেল আইনজীবী নিয়োজিত রয়েছেন। এখন যারা বিনামূল্যে সেবা নিতে চান বা আগ্রহী। তারা তাদের নিজ এলাকার পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের মেয়র বা চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে আর্থিক অসচ্ছলতার সনদ বা সেবার উপযোগী সনদপত্র নেবেন। পরে জেলা আইনজীবী সমিতি অথবা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে যোগাযোগ করবেন। আইনজীবীরা তাদের সরকারি খরচে মামলা চলমান রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবেন।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এমএ হামিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম রেজা। এছাড়া জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা সাজেদুর রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন দফতরের প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।