খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল। তিনি ২০১৪ সালেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পঞ্চানন বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগ তাকে বহিষ্কারও করেছিল। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সে প্রত্যাহার আদেশ তুলে নিলেও তিনি দলে কোনও পদ পাননি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ননী গোপাল মণ্ডল বলেন, ‘খুলনা ১ আসনে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকবে কি না বোঝা যাচ্ছে না। আমি দলীয় মনোনয়ন পাইনি। তারপরও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি কৌশলগত কারণে। এলাকায় তার একটা পরিচিত গণ্ডি রয়েছে। সব মিলিয়ে ভাবনার কিছুটা সময় এখনও আছে। শেষ পর্যন্ত দলের সমর্থন না পেলে আমি প্রার্থী থাকবো না।’
পাশাপাশি খুলনা ১ আসনে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায়ও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একইভাবে খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন আখতারুজ্জামান বাবু। এখানেও জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু ও মোস্তফা কামাল প্রার্থী হয়েছেন। খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আব্দুস সালাম মুর্শেদী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু এ আসনেও জাতীয় পার্টির হাদিউজ্জামান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। খুলনা ২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এখানেও জাতীয় পার্টিও এরশাদুজ্জামান ডলার প্রার্থী আছেন। খুলনা-১, ২, ৪ ও ৬ নং আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের বিষয়ে মহাজোটের সিদ্ধান্ত দেখার অপেক্ষায় রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা।
জাপা প্রার্থী সুনীল শুভ রায় বলেন, ‘খুলনা ১ আসন মহাজোটের প্রত্যাশার আসন। আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত এ আসনটি মহাজোটকে দেওয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।’
অপরদিকে খুলনায় ছয়টি আসনে বিএনপি-জামায়াতের ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার এবং খুলনা-৬ আসনে জামায়াতের খুলনা মহানগর নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদও ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
দলের মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, জামায়াত ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদেরও দলীয় প্রার্থী হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। আর বিএনপির একাধিক প্রার্থীকে কৌশলগত কারণেই মনোনয়ন দিয়ে ‘মনিটরিং’ করা হচ্ছে। প্রত্যাহারের পর সব আসনেই ‘একক’ প্রার্থী থাকবে।