২০১৪ সালে ফেনী-১ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হওয়া শিরীন আখতারের নির্বাচনের হলফনামায় ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি উল্লেখ ছিল। ৫ বছর পর এই নির্বাচনে হলফনামায় তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১ কোটি ৭৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯০ টাকা। যা আগের চেয়ে তিন বেড়ে গেছে।
হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, শিরীন আখতারের গাজীপুরে ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ টাকা মূল্যের ৬২ শতাংশ জমি, ধানমন্ডি ও ফেনী শহরে সাড়ে ১৯ লাখ টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট রয়েছে। এফডিআর ও সঞ্চয় প্রকল্পে রাখা হয়েছে ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯১ টাকা। তার মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে আয় করেছেন সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। আয়ের খাত কৃষি থেকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৫৫০ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয় ও ব্যাংক আমানত থেকে ২ লাখ ২২ হাজার টাকা রয়েছে।
অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে নগদ টাকা রয়েছে ৬০ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৩, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৪ লাখ ৯৯হাজার ৫৮৭ টাকা, বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ রয়েছে ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯১ টাকা। শিরীন আখতারের ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার ১৬৯ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি ও উপহার হিসেবে অর্জিত হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
শিরীন আখতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসএস পাস করেছেন। ১৯৭৫ সালে সামরিক আইনে রংপুরে একটি মামলায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও পরবর্তীতে তা খালাস পেয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়।
৫ বছর আগের হলফনামায় স্বামীর সম্পত্তির হিসাব উল্লেখ না থাকলেও স্বামী মনিরুল ইসলামের কাছে নগদ টাকা রয়েছে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৯ ও ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৩২ টাকা।
এছাড়া ইলেক্ট্রিক্যাল সামগ্রী ও আসবাবপত্র বাবদ দেড় লাখ টাকার মালামাল রয়েছে। রাজধানীর সাতমসজিদ রোড শাখার উত্তরা ব্যাংকে দুটি খাতে ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৪ টাকা ঋণ রয়েছে।