ভুক্তভোগী গ্রামবাসী এ বিষয়ে পাউবো’র কাছে নতুন করে আবেদন করে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। নোনা পানি তোলা বন্ধ করতে তারা কালিগঞ্জ থানায়ও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে তারা এখনও কোনও প্রতিকার পাননি।
কৃষক ইমান আলি সরদার ও হাবিবুর রহমান জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মিষ্টি পানি ব্যবহার করে কৃষি ও মৎস্য চাষ করে আসছিলাম। সীমান্তের কালিন্দী নদী থেকে লবণাক্ত পানি তুলে শিবপুর স্লুইস গেট দিয়ে কলপলি খালের মধ্য দিয়ে একটি মহল নোনা পানি তোলা শুরু করেন। তারা এই পানি সাত কিলোমিটার দুরে খইতলা সোনাখালি খুবদিপুরের পূবের বিলে নিয়ে বাগদা চিংড়ি চাষ করছিলেন। এর ফলে স্থানীয় খড়মী, মলেঙ্গা, মুড়াগাছা, আবদুলখালি, মাদকাটি, গোয়ালপোতা, আড়ংগাছাসহ প্রায় ১০টি গ্রাম নোনা পানির কবলে পড়ে। ফলে এসব গ্রামে ফসল ও মাছের ক্ষতি হচ্ছে।
তারা আরও জানান, এ বিষয়ে তারা কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে যান। গ্রামবাসীর আবেদন অনুযায়ী তারা নোনা পানি তুলতে নিষেধ করেন। কিন্তু তাদের নির্দেশনা না মানায় গ্রামবাসী উচ্চ আদালতে রিট করেন। তিন বছর আগে হাইকোর্টের এক আদেশে নোনা পানি তুলবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশনাল অফিসার (এসও) মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা পেয়ে আমরা পুলিশের মাধ্যমে পানি তোলা বন্ধ রেখেছি। এখন নতুন করে রাতের অন্ধকারে কেউ গোপনে স্লুইস গেট দিয়ে পানি তুললে বাধা দেওয়ার সুযোগ কমই থাকে। তবু আমরা আদালতের নির্দেশনা রক্ষার চেষ্টা করবো।’