আইন দিয়ে অবৈধ শিকারিদের ঠেকানো যাবে না: বনমন্ত্রী

হাড়বাড়িয়া ইকোট্যুরিজম এলাকা পরির্দশনে মন্ত্রীপরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সুযোগে দেওয়ার পর এখনও যারা সুন্দরবনে দস্যুতা করছেন তাদেরকেও ধরা হবে। সুন্দরবন অবশ্যই দস্যু মুক্ত করা হবে।’

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সুন্দর বনের করমজল বন্যপ্রাণী, কুমির ও কচ্ছপ প্রজনন এবং হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম পরিদর্শন শেষ তিনি একথা জানান।

এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবনে যারা বিষ এবং ফাঁদ দিয়ে মাছ, হরিণ ও বাঘ শিকার করেন-তাদেরকে আইন দিয়ে দমন করা যাবে না। এজন্য তিনি সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চান।’ সুন্দরবনকে সুরক্ষা করতেও এ এলাকার মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যাবস্থা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সুন্দরবনকে বাঁচানোর জন্য, পরিবেশবান্ধব রাখতে  তাদের মন্ত্রণালয় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এছাড়া সুন্দরবনকে সুরক্ষা করতে যা যা করা দরকার তার সব কিছুই করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

হাড়বাড়িয়া ইকোট্যুরিজম এলাকা পরির্দশনে মন্ত্রীএসময় মন্ত্রী সুন্দরবনের হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রে লোনা পানির চারটি কুমিরের বাচ্চা অবমুক্ত করেন।

পরে মন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সিন্দুর তলা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় নদী ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তার মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব আব্দুল্লা আল মহসিন চৌধুরী, বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।