দুদক আসছে শুনে ভাণ্ডারে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা স্টোর কিপার

 

noname

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা হাসপাতাল চত্ত্বরে পৌঁছাতেই ভাণ্ডারে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেলেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্টোর কিপার ফজলুল হক। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপরে এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। এ ঘটনায় স্টোর কিপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, ২০১৭/২০১৮ অর্থ বছরে তিনটি পৃথক টেন্ডারে বরাদ্দকৃত ১৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় না করে তা লোপাট করা হয়েছে এমন অভিযোগে সাতক্ষীরাসহ জাতীয় পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে সাতক্ষীরার নাগরিক সমাজ আন্দোলন করছেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার দুদক খুলনা কার্যালয় থেকে সহকারি পরিচালক শাওন মিয়াসহ চার কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক তদন্তে আসেন। তারা হাসপাতাল চত্ত্বরে পৌঁছাতেই স্টোর কিপার ফজলুল হক ভাণ্ডারে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান। ফজলুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে আগে থেকেই দুটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।

এ প্রসঙ্গে দুদক কর্মকর্তা শাওন মিয়া জানান, বিষয়টি সিভিল সার্জনকে জানিয়ে স্টোর কিপার ফজলুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন। তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে বরাদ্দ ১৮ কোটি টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম লুণ্ঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, অফিস চলাকালে কোনও কারণ ছাড়াই ভাণ্ডারে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হবে স্টোর কিপারকে।