আটক ব্যক্তিরা হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানার পাটবাড়ি এলাকার নিহত মুদি দোকানদার আব্দুস সালামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও একই থানার শিকড়ী গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম গাজী।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সাবিনার সম্পর্কের জের ধরেই মুদি দোকানি সালামকে হত্যা করা হয়।
আটক জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেহেনা বেগম ও তার শ্বশুর-শাশুড়ি জানান, সাবিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীরের পরিচয় দীর্ঘদিনের। দেড় বছর ধরে সাবিনা প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। তবে সাবিনার চলাফেরায় সন্দেহ হলে সে যেন না আসে সে বিষয়ে জাহাঙ্গীরকে জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহমেদ বলেন, আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সূত্র ধরে নিহত আব্দুস সালামের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী বেনাপোলের শিকড়ী গ্রামের ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীরকে আটক করি। তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা যাবে না। তবে আটক ব্যক্তিদের শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মশিউর রহমান বলেন, আটক সালামের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় রাখা হয়েছে এবং জাহাঙ্গীরকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার (০৮ মে) দুপুরে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে।