বুধবার (১২ জুন) সকালে শার্শা থানা চত্বরে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, রমজান শুরু হওয়ার তিন-চার দিন আগে রাতে হাফিজুর রহমান তার মাথা টিপে দেওয়ার কথা বলে শাহ পরানকে নিজ কক্ষে ডাকেন। শাহ পরান সেখানে গিয়ে একপর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর হাফিজুর রহমান তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। এর আগেও তিনি কয়েকবার এমন চেষ্টা করেন। পরে শাহ পরান বিষয়টি তার সহপাঠী এবং মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সদস্যদের জানায়। এ কারণে হাফিজুর রহমান তাকে কৌশলে মাদ্রাসা থেকে উপজেলার গাজীপাড়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ঘরের দেয়ালের সঙ্গে মাথা ঠুকে এবং পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করেন। এরপর তার মরদেহ ঘরের মধ্যে খাটের নিচে রেখে দেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার শাহ পরান যশোরের শার্শা উপজেলার কাগজপুকুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। সে গোড়পাড়া হিফজুল কোরআন এতিমখানা মাদ্রাসার ছাত্র ছিল।
হাফিজুর রহমান শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গাজীপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্যার ছেলে। হিফজুল কোরআন এতিমখানা মাদ্রাসার শিক্ষক ও মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদের ইমাম। ২ জুন বিকালে শার্শা উপজেলার গাজীপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ঘরের খাটের নিচ থেকে শাহ পরানের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।