যশোরে গণপিটুনিতে একাধিক মামলার আসামি নিহত

নিহতের স্বজনদের আহাজারিযশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় হত্যা মিশনে গিয়ে একাধিক মামলার আসামি সানি হোসেন (৩০) গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনির শিকার হওয়ার আগে সানি ও তার সহযোগীদের ছোড়া বোমার আঘাতে হৃদয় হাসান নয়ন (৩০) ও তার বন্ধু আনন্দ (৩০) আহত হন। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান এসব তথ্য জানান।

আহত নয়ন শহরের শংকরপুর এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে ও আনন্দ একই এলাকার অশোক কুমারের ছেলে। তাদের নামেও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল মসজিদের সামনে বসেছিলেন নয়ন ও আনন্দসহ তার বন্ধুরা। এ সময় দু’টি মোটরসাইকেলে শংকরপুর মুরগি ফার্ম এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে সানিসহ কয়েকজন যুবক সেখানে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। বোমার স্প্লিন্টারে নয়ন ও তার বন্ধু আনন্দ জখম হন। এরপর নয়নের অপর সঙ্গীসহ টার্মিনালের লোকজন ধাওয়া দিয়ে সানিকে ধরে ফেলেন। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ সময় সানিকে স্থানীয়রা ব্যাপক মারধর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সানিকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।’

ওসি আরও জানান, স্থানীয়রা আহত নয়ন ও আনন্দকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে নয়নকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডা. অহেদুজ্জামান আজাদ বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর সানিকে অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় সাপোর্ট দিলেও সানির শরীর তা গ্রহণ করেনি। রাত পৌনে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এদিকে, আহত নয়নের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আনন্দ চিকিৎসাধীন রয়েছেন; তবে তার অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়।’

ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, ‘নিহত সানির বিরুদ্ধে থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। আহত নয়নের বিরুদ্ধে ১৫-১৬টি এবং আনন্দের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় কারও পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা না হলে, পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।’