খননের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ফতেপুর বাঁওড়

ফতেপুর বাঁওড়ের বর্তমান অবস্থাতদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শুকিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে ঝিনাইদহের মহেশপুরের ফতেপুর বাঁওড়। দীর্ঘদিন খনন না করায় ৪৭ হেক্টর (১১৬ একর) আয়তনের এ বাঁওড়টি মাছ চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এটা অনেকটা গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

কপোতাক্ষ নদের অংশবিশেষ এই বাঁওড়টিতে পাকিস্তান আমল থেকে সরকারিভাবে মাছ চাষ করা হয়। ১৭৯৪ সালের যশোরের কালেক্টরের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কপোতাক্ষ নদে চর জেগে ওঠায় স্রোত বন্ধ হয়ে যায়। এ থেকেই বাঁওড়ের সৃষ্টি। ১৯৫২ সালের জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি সুন্দরপুর জমিদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। শেষ জমিদার খান সাহেব ফজলুর রহমান চৌধুরী ১৯৫৮ সালে মারা যাওয়ার পর বাঁওড়ে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মাছ চাষ করতো। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের দিকে সরকারিভাবে মাছ চাষ শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, ঝিনাইদহে ছোটবড় ৩৬টি বাঁওড় আছে। এর মধ্যে মহেশপুরে ১৩টি। এর একটি ফতেপুর বাঁওড়।

বাঁওড় শুকিয়ে যাওয়ায় মৎস্যজীবীরা হতাশ। এ অবস্থা চললে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয় বলে মৎস্যজীবীদের নেতা শ্রী সুশান্ত হালদার জানিয়েছেন।

বাঁওড় ম্যানেজার রিপন হোসেন বলেন, বাঁওড়ে অধিকাংশ জায়গা ডাঙা হয়ে গেছে। ফলে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন ব্যাপার। তবে খননকাজ করা হলে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার মৎস্য অধিদফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।