স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ.লীগ প্রার্থী চেয়ারম্যান






মাগুরার মঘি ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগ করেছেন এক স্বতন্ত্র প্রার্থী। আগামী ২৫ জুলাই এ উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রার্থী মো. রাজু আহম্মেদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেছেন। তার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ২৫ জুলাই ধার্যকৃত মঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই বাছাই শেষে তিনিসহ মোট সাত জনের মনোয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও প্রতীক বরাদ্দের সময় বারবার যোগাযোগ করা সত্বেও তাকে সহযোগিতা করা হয়নি।

রাজু আহম্মেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল, এ কারণে আমি আত্মগোপন করি। ইতোমধ্যে আমি জানতে পারলাম আমিসহ মোট ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। অথচ আমি প্রত্যাহারপত্রে স্বাক্ষর করিনি। আমাকে অসুস্থ দেখিয়ে মিথ্যা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দাখিল করে প্রত্যাহারপত্রে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। অন্য প্রার্থীর ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটতে পারে। তাদেরকেও নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে রিটার্নিং অফিসার ও মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাশ দাবি করেছেন সবকিছু বৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে। স্বাক্ষর জালের কোনও অভিযোগ তিনি পাননি। পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।

উল্লেখ্য, মাগুরা মঘি ইউনিয়নের উপনির্বাচনে সাত জন প্রার্থীর মধ্যে ছয় জন প্রত্যাহার করায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হাচনা হেনাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।