৬ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে খুলনা

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেলের খুলনার রাস্তাটানা ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিতে খুলনার সড়ক, অলি-গলি তলিয়ে গেছে। মহানগরীর নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতেও পানি উঠেছে। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে সে অর্থে যানবাহনও দেখা যায়নি। ঈদের ছুটি শেষে শনিবার (১৭ আগস্ট) স্কুল খুললেও যেতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাত ৩টার থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টি চলে সকাল ৬টা পর্যন্ত। এরপর হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয় সকাল ৯টা পর্যন্ত। রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বৃষ্টিতে খুলনায় জলাবদ্ধতাভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় মহানগরীর কেডিএ এভিনিউ, লোয়ার যশোর রোড, ডাকবাংলা মোড়, পিটিআই মোড়, রয়েল মোড়, শান্তিধাম মোড়, ফুল মার্কেট, টুটপাড়া, নতুন বাজার, জোড়াগেট, খালিশপুর বাস্তহারা কলোনি, বয়রা এলাকা, মুজগুন্নি, হাউজিং বাজার, নতুন কলোনি, দৌলতপুরসহ মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

মহানগরীর গোবরচাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ভোররাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে মনে হয়েছিল সকালে আর দোকান খোলা যাবে না। সড়কে বের হওয়াই কঠিন হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি রাস্তায় বের হওয়া ছিল দুষ্কর। তারপর পানি ভেঙে দোকান পর্যন্ত গিয়ে দেখি পানিতে সয়লাব।’

বৃষ্টিতে খুলনায় জলাবদ্ধতাটুপাড়া এলাকার আকবর হোসেন বলেন, ‘টানা বৃষ্টিতে সড়ক, গলিপথ  তলিয়ে যাওয়ায় রিকশা, ভ্যান কিছুই যেতে চায় না। কারণ ওয়াসার খোঁড়া খুঁড়িতে অনেক স্থানেই বড় বড় গর্ত করা রয়েছে। পানিতে অনেক পথচারী গর্তে পড়ে গেছেন। আর রিকশা গর্তে পড়লে তো যাত্রী ও চালকের অবস্থা হতে পারে শোচনীয়।’ তলিয়ে যাওয়া টুটপাড়া ও এর আশপাশ এলাকার সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

রাস্তায় যানবাহন নেই বললেই চলেখুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন বলেন, ২২ খাল পুনরুদ্ধার ও খনন ছাড়া মহানগরী খুলনার জলাবদ্ধতার নিরসন করা কঠিন।

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবিরুল আজাদ বলেন, ‘মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণের কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। খাল খনন ও অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন দ্রুততার সঙ্গে অভিযান শুরু হবে। কেডিএ এভিনিউর ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ শুরু হয়েছে। ২০৩০ সালের জুনে এসব কাজ শেষ হবে। তখন নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।’