রূপসা ও ভৈরবের দু’তীরে অবৈধ স্থাপনা ১১৫৪, শিগগিরই অভিযান

রূপসায় উচ্ছেদ অভিযানখুলনার রূপসা ও ভৈরব নদীর দু’তীরে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে ১১৫৪টি। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের শিগগিরই অভিযান শুরু হবে। বিআইডব্লিউটিএ খুলনার উপ-পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান একথা জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রূপসা নদীর তীরের তেতুলতলা ১০ গেট এলাকায় তিনটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। মুস্তাফিজুর রহমান বলেন,  ‘হঠাৎ করেই নতুনভাবে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের চেষ্টাকালে রূপসা নদীর তেতুলতলা ১০ গেট এলাকায় তিনটি স্থাপনা উচ্ছেদে জরুরি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রূপসা ও ভৈরব নদীর দু’পাড়ে গড়ে ওঠা ১১৫৪টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মূল অভিযান শিগগিরই শুরু করা হবে। খুলনায় ময়ূর নদীসহ ২৬ খাল দখল মুক্ত করণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলার কারণে কিছুটা সময় নিতে হচ্ছে।’

রূপসা নদী তীরে উচ্ছেদ অভিযানবিআইডাব্লিউটিএ’র সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সংলগ্ন ভৈরব ও রূপসা নদীর দু’তীরে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের লক্ষ্যে যৌথ জরিপে দু’নদীর তীরে ১১৫৪ জন অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করা হয়। জাতীয় সংসদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারি ও বিরোধীদলের প্রার্থীদের প্রধান ইস্যু ছিল খুলনা নগরীর জলবদ্ধতা নিরসন। উচ্চ আদালতের আদেশের পরিপেক্ষিতে বন্দর নগরীর ভৈরব ও রূপসা নদীর তীরের অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করতে ২০১৭ সালে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’র যৌথ উদ্যোগে লবণচরা, হেলাতলা, গোয়ালপাড়া, পাবলা, দৌলতপুর, রাজাপুর, টুটপাড়া ও বানিয়াখামার মৌজার জরিপ কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জরিপ কাজ শেষ হয়। এছাড়া অবৈধ দখলদারের তালিকায় মোট ১১৫৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

জরিপ কমিটির আহবায়ক জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ জানান, জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের তালিকাও প্রস্তুত হয়েছে। এখন উচ্ছেদ অভিযান শুরুর অপেক্ষা।