বাগেরহাটে মন্দিরে সাতটি প্রতিমা ভাঙচুর

ভাঙা প্রতিমাবাগেরহাটের চিতলমারীর একটি মন্দিরে সাতটি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) গভীর রাতে চিতলমারী উপজেলার চরবড়বাড়িয়া পূর্বপাড়া (হরি মন্দির সংলগ্ন) সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গনেশ ও মহিষাসুরসহ সাতটি প্রতিমা ভেঙে ফেলেছে। খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহাফুজ আবজাল ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে চিতলমারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন মন্দির কমিটির সভাপতি নৃপেণ বৈদ্য।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গা মন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে সাতটি প্রতিমা ভেঙে রেখে যায়। সকালে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

চরবড়বাড়িয়া পূর্বপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি নৃপেণ বৈদ্য ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম মণ্ডল জানান, গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে প্রতিমাগুলোর মাথা ভেঙে রাস্তার ওপর থেকে ফেলে রেখে যায়। সকালে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। নবমীর দিন পূজা দেখাকে কেন্দ্র করে বিরোধের কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় অজিত মণ্ডলকে (৩২) সন্ত্রাসীরা বেদম মারধর করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই রাতেই মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে।

ভাঙা প্রতিমাএ বিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কপিল মণ্ডল ও চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিপ সাহা জানান, যেকোনও প্রকারে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

চিতলমারীর বড়বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ সরদার ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা প্রভাবশালী হলেও তাদের বিচার করতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া উচিত হবে না।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বাগেরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মাহাফুজ আবজাল ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এর সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিমাগুলোকে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।