বাগেরহাটে বিদ্যুৎ আসতে সময় লাগবে ৪-৫ দিন

ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটিঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বেশিরভাগ বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে বাগেরহাটের সবগুলো উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বেশিরভাগ উপজেলাতে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, গাছ উপড়ে ও ভেঙে তারের ওপর পড়ায় পুরো লাইন ঠিক করে সংযোগ দিতে কমপক্ষে ৪-৫ দিন সময় লাগবে।

তবে রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলা ও মোংলা পৌর এলাকায় স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।

বিদ্যুতের সঙ্গে শরণখোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা গেছে।

মোংলার মনির হোসেন জানান, রবিবার রাতে মোংলা পৌরসভায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। উপজেলার অন্য কোথাও বিদ্যুৎ নেই। মোবাইলেও ঠিক মতো নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না।

শরণখোলার রায়েন্দা এলাকার মোহাম্মদ আলী জানান, রবিবার থেকেই শরণখোলায় বিদ্যুৎ নেই। মোবাইলেও নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই এলাকার মানুষ।

রামপালেও একই অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানান দিগরাজ এলাকার সুব্রত ঢালী।

তবে দুটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেষ্টায় বাগেরহাট জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কাজ করছে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। অপর সাতটি উপজেলায় বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ করা হচ্ছে।

পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইফুল আহম্মেদ জানান, মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলায় বিদ্যুতের তারের ওপর বড় বড় গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়ে পাঁচশ’র বেশি স্থানে তার ছিড়ে গেছে। অর্ধশতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। দুই উপজেলায় ৫০টি টিম কাজ করছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ৪-৫ দিন সময় লাগবে।

বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাকির হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিন শতাধিক বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তার ছিড়ে গেছে এক হাজার স্থানে। ৫০টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গেছে। ১১টি সাবস্টেশনের সবকটি বন্ধ ছিল। এর মধ্যে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৪টি চালু করা হয়েছে। ৪২টি ফিডারের মধ্যে চালু হয়েছে ৪টি। লাইনের ওপর থেকে গাছ ও গাছের ডাল সরানো এবং লাইন সংস্কারের কাজ করছে তিনশটি টিমের দেড় হাজার কর্মী। এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে উপজেলা সদরগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।