খুলনায় দুটি হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

আদালতখুলনায় দুটি হত্যা মামলার পৃথক রায়ে ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তেরখাদার রিকশা চালক আব্দুল আলী শেখ হত্যা মামলায় ৭ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরো। আর ডুমুরিয়ার ঘের মালিক শাহিন বন্দ হত্যা মামলায় আসলাম সানা ওরফে জলিল সানাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী।

তেরখাদার আলী শেখ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৭ জন হলেন— সোলেমান গাজী, হাফিজ খান, মিন্টু ওরফে মন্টু, শওকত মোল্লা, আকতার শেখ, পলাতক নেয়ামত শেখ ও জামাল শেখ। এ মামলায় আরও ৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন—ফিরোজ গাজী, কামাল, শরিফুল, আবদুল অদুদ ও মাশিকুল ইসলাম চৌধুরী জয়।

জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. ছায়েদুল হক শাহীন জানান, ২০০৪ সালের ২৮ এপ্রিল রাত সাড়ে ৭টার দিকে তেরখাদা উপজেলার লস্করপুর গ্রামের রিকশাচালক আব্দুল আলী শেখকে নিজ বাসা থেকে ডেকে আজগর আলীর ঘেরে নেওয়া হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ থাকে। পরে ওই বছরের ৪ মে স্থানীয় নদী থেকে আলী শেখের (২৮) ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়। লাশটি ক্ষতবিক্ষত ছিল। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মিন্টু শেখ বাদী হয়ে ২০০৪ সালের ৭ মে তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবির এসআই আবু তাহের ১২ জনকে আসামি করে ২০০৭ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে এ মামলার শুনানি চলাকালে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সব শেষে মঙ্গলবার আদালত রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের পিপি আরিফ মাহমুদ লিটন রাষ্ট্রপক্ষে ও আসামি পক্ষে আবু নিক্সন মামলাটি পরিচালনা করেন।

এদিকে, ডুমুরিয়ার বিলপাবলা এলাকায় শাহিন বন্দের মাছের ঘেরে কাজ করতো জলিল সানা। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শাহিন জলিলকে কয়েকটি চড় মারে। এর প্রতিশোধ নিতে ২০১১ সালের ৬ জুন রাতে ত্রিশুল দিয়ে ঘুমন্ত শাহিনের বুকে আঘাত করে জলিল। এরপর স্থানীয় লোকজন শাহিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ডুমুরিয়া থানা পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।