শ্যামনগর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে কৈখালী স্টেশন অফিসার কামরুল ইসলাম স্টেশনে না থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’
ইউপি সদস্য আবদুল হামিদ লাল্টু জানান, রাতে কোস্টগার্ডের সিসি ফোন দিয়ে ডাকার পর তিনি কয়েকজনকে নিয়ে সেখানে যান। পন্টুনে বেঁধে রাখা অবস্থায় উপুড় হয়ে ডুবে থাকা মরদেহ নবাব আলী গাজীর বলে নিশ্চিত হয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
নিহতের ছেলে কাছিকাটা টহলফাঁড়ির নৌযান চালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার বাবার কথা হয়। ৯টার দিকে তিনি স্টেশন অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে শুয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে তার বাবার মোবাইল ফোন থেকে কেউ কল দিয়ে তাকে বাড়ির পাশের স্টেশনে যাওয়ার কথা বললে তিনি বেরিয়ে যান।
নবাব আলী শ্যামনগর উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী স্টেশনে নৌযান চালকের কাজ করছিলেন।