মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে চাকরি, দুই পুলিশ সদস্য আটক

আটকমুক্তিযোদ্ধার জাল সনদে চাকরি নেওয়ার মামলায় দুই পুলিশ সদস্য আটক হয়েছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) যশোর কোতোয়ালি পুলিশ তাদের আটক করে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটকরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল মিনাজ হোসেন (নম্বর ৮৭৩)। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ফকিরের ছেলে। অপরজন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নাসিরউদ্দিন (নম্বর ৬০৫৯)। তিনি যশোর সদরের বলরামপুর-মাথাভাঙ্গা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে।
জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে পুলিশে চাকরি নেওয়ার ঘটনা জানতে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মোকলেছুজ্জামান জানান, ২০১৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে যশোর পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশের কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ করা হয়। নিয়োগকৃতরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে কাগজপত্র দাখিল করেন। পুলিশের হেডকোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রতিবেদনে জানা যায়, তাদের দাখিলকৃত মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র ভুয়া।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইনসের আরআই এম মশিউর রহমান কোতোয়ালি থানায় আলাদা তিনটি মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা নিজ নিজ কর্মস্থলে ওই মামলার আসামিদের আটকে পত্র পাঠান। একপর্যায়ে বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল মিনাজ হোসেন এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল নাসিরউদ্দিনকে বিকালে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র দিয়ে চাকরি নেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দু’জনকে তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন।