খুলনায় সাপ্তাহিক হাট বন্ধ ঘোষণা

খুলনায় জেলা প্রশাসনের জরুরি সভা‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনা জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ছাড়া অন্য সাপ্তাহিক হাট ও গরু-ছাগলের হাট বন্ধ থাকবে। খুলনা মহানগরীতে বিকাল পাঁচটার পরে চায়ের দোকান খোলা রাখা যাবে না। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব একটি দুর্যোগ তৈরি করায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে জরুরি অবস্থার মতো সক্রিয় রাখতে হবে। দাকোপের আংটিহারায় ভারত থেকে আসা ক্লিংকারবাহী জাহাজ হতে নাবিকদের দেশের অভ্যন্তরে না নামার বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’

সোমবার (২৩ মার্চ) সকালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত খুলনা জেলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. এহসান শাহ, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, সরকারের বিশেষ উদ্যোগে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা উপরকণসমূহ উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছাবে। জনসাধারণকে সহজ বাংলায় কোয়ারেন্টিন (সন্দেহভাজনকদের পৃথক করে রাখা) বিষয়টি বুঝিয়ে বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনের সময় চিকিৎসাকেন্দ্রে আনার জন্য আলাদা অ্যামবুলেন্স প্রস্তুত রাখার বিষয়ে এ সময় নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় আরও বলা হয়, সরকারি খাদ্য গুদামে ১৭ লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে তিন লাখ মেট্রিক টন গম মজুত থাকায় দেশে খাদ্য সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত থাকবে। সরকারি চাকরিজীবীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে বলা হয়।

এ সময় খুলনার বিভিন্ন উপজেলা হতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ডিভিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায়ে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন।