পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, জেলা পুলিশের উদ্যোগে তাদের এ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আর দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি বিত্তবানদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি লবণ ও দু’টি সাবান।
দেশে অঘোষিত লকডাউন থাকায় মানুষ ঘরে বন্দি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। সরকার ত্রাণ সহায়তা চালু করলেও তা প্রযোজনের তুলনায় অপ্রতুল। যে কারণে তাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে যশোর পুলিশ বিভাগ। নিজেদের অর্থায়নে তারা শুরু করেছে খাদ্য সহায়তার কাজ।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পেয়ে মহাখুশি কর্মহীন মানুষগুলো। ট্রাকচালক নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘এসপি সাহেব ঘরের দরজায় খাবার নিয়ে এসেছেন, বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি। কাজে বের হতে না পারায় গত তিনদিন ঘরে যা ছিল, তা শেষ। এই চাল, ডাল না পেলে ছেলে-মেয়ের খুব কষ্ট হতো।’
জুয়েল মিয়া নামে একজন রাজমিস্ত্রির হেলপার জানান, তিনদিন ধরে ঘরে বসে আছেন। এক টাকাও রোজগার নেই। এমন সময় পুলিশের পক্ষ থেকে চাল, ডাল পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন, তিনিসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম রাতের মধ্যেই ২০০ পরিবারের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেবেন।