দরিদ্রদের রামকৃষ্ণ মিশন ও হিজড়াদের এসপির খাদ্য সহায়তা

দরিদ্রের সহায়তা দিচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশন


কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে যশোরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) মিশন চত্বরে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ। আর হিজড়া সম্প্রদায়কে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে যশোর পুলিশ বিভাগ।

রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ মহারাজ বলেন, ‘জাতির ক্রান্তিলগ্নে সবার সেবা কার্যে এগিয়ে আসা উচিত। তাই রামকৃষ্ণ মিশনও এগিয়ে এসেছে। ঘরবন্দি হওয়ায় দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের দুর্দশা চরমে। এ কারণে রামকৃষ্ণ মিশন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রাথমিক পর্যায়ে এক হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেবে। সরকারের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ঘোষণা মানতে প্রতি ঘণ্টায় ১০ জনকে মিশন মাঠ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। খাদ্য সহায়তার মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, এক কেজি লবণ ও একটি করে সাবান। যতদিন প্রয়োজন হবে এ খাদ্য সহায়তা চালু রাখা হবে।’ 

হিজড়াদের সহায়তা দিচ্ছে পুলিশ

এদিকে, যশোরের পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে হিজড়া সম্প্রদায়ের ৪০ জনকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ আশরাফ হোসেন বলেন, সরকারের ঘর থাকার নির্দেশনা মানায় দরিদ্র শ্রেণির মানুষ যারা দিন এনে দিন খায় তারা খুব কষ্টে আছেন। তাদের ঘরে খাবার নেই। সরকার তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগও মানবিক কাজের অংশ হিসেবে নিজেদের অর্থে খাদ্য সহায়তা চালাচ্ছে। গত ২৮ মার্চ থেকে পুলিশ দরিদ্র লোকদের তালিকা করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় হিজড়া সম্প্রদায়ের লোকজনদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এ কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।