রবিবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ২০ থেকে ২২ জন শিক্ষক ও স্টাফ কর্মরত আছেন। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জানান, সেখানে প্রায় ২৫ জন শিক্ষক ও স্টাফ আছেন। তবে আজ ৫ থেকে ৭ জন অবস্থান করছেন। মাদ্রাসায় প্রবেশ করে কথা বলার পর শিক্ষকরা একে একে বেরিয়ে যান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার অফিস কক্ষেই অবস্থান নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য মাদ্রাসা অবস্থান করে পরীক্ষার সিলেবাস তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এ কারণেই তারা মাদ্রাসা অফিস কক্ষে অবস্থান করতেছে।
অভিভাবক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষার সিলেবাস নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাকে মাদ্রাসা আসতে বলা হয়েছে। তাই তিনি মাদ্রাসায় এসে ছিলেন।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। তবে অফিসের কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করতে মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকার কয়েকজন শিক্ষক অফিসে আসে। এটা তারা নিজ উদ্যোগেই করছেন। আর তিনি নিজেই এই মাদ্রাসার পাঁচ তলায় অবস্থান করছেন। এখানেই তার আবাসিক বাসা। শিক্ষকরা অফিসে আসার কারণে তিনি নিজেও অফিস কক্ষে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক বলেন, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম নির্ধারণের জন্য আবাসিকে থাকা কিছু শিক্ষক অফিসে বসে কাজ করে থাকতে পারেন।