আম্পানে খুলনায় ৮৩ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, কয়রায় ভেঙেছে বাঁধ

খুলনার কয়রায় আম্পান ঝড় থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিংঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে খুলনার ৯টি উপজেলার ৮৩ হাজার ৫৬০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিতে পড়েছেন সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে কয়রা উপজেলায়, সেখানে বাঁধ ভেঙে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) খুলনা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার জানান, আম্পানের আঘাতে খুলনার ৯টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন এলাকায় কম বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকায় ঘর ভেঙে পড়েছে। কিছু এলাকায় ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে খুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৫৬০টি। কয়রায় বাঁধ ভেঙে গেছে।

কয়রা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মো. জাফর রানা বলেন, আম্পানের আঘাতে কয়রার চারটি ইউনিয়নের ৫২টি গ্রাম সম্পূর্ণ এবং আরও দুটি ইউনিয়নের ২৪টি গ্রাম আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলায় সব জায়গারই বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২১টি স্থানে বাঁধে ভাঙ্গণ লেগেছে। ৫১ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ১ লাখ ৮২ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দাকোপ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের বলেন, আম্পানের আঘাতে দাকোপ উপজেলায় ১ হাজার ১০০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বটবুনিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় দুইটি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। দাকোপে বেড়িবাধের আধা কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল বলেন, আম্পানের আঘাতে তার উপজেলায় ৩৭০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি ঘর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানর আঘাতে দেশের উপকূলীয় বেশ কিছু জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সাত জেলায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।