গাবুরার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘দেশজুড়ে সবাই যখন ঈদের আনন্দে মত্ত, উপকূলের মানুষ তখন নিজের বাস্তুভিটা রক্ষায় ব্যস্ত। তাদের কারও ঈদের আনন্দ নেই, মুখে হাসি নেই। কারণ, দুই ঘণ্টা পর আবারও জোয়ারের পানিতে পূর্ণ হবে লোকালয়। তার আগেই যদি বাঁধে কিছুক্ষণ কাজ করা যায়, তাহলে হয়তো বিপদ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে। জোয়ার আসার আগে যদি বাঁধটা একটু উঁচু করা যায়, সেজন্য সবাই হাত লাগিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সর্বনাশী আইলায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় দক্ষিণের উপকূলীয় জনপদ। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাতক্ষীরা জেলার উপকূলীয় এলাকা গাবুরা, পদ্মপুকুর, প্রতাপনগর ও শ্রীউলাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন। গত এক দশক ধরে সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে ফের বাঁধ ভেঙে নোনা জলে তলিয়ে যায় সমগ্র দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকা। রমজান শেষে ঈদ এলেও মানবেতর জীবনযাপন করছেন এ অঞ্চলের অসহায়, দুস্থ ও প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা মানুষেরা।