‘চিতা বাঘ’র দাম ১০ লাখ টাকা!

চিতা বাঘ নামের ফ্রিজিয়ান জাতের গরুএখনও হাটে তোলা হয়নি ‘চিতা বাঘ’কে। তার আগেই খুলনায় আলোড়ন ফেলেছে ‘চিতা বাঘ’ নামের গরুটি। উচ্চতায় ৬ ফুট ও লম্বায় ৯ ফুট গরুটির ওজন ৩৫-৩৬ মণ। এটিকেই খুলনার সবচেয়ে বড় গরু হিসেবে মনে করা হচ্ছে। চিতা বাঘের মালিক খুলনার তেরখাদার কাটেঙ্গা গ্রামের কায়নাথ শিকদার। ১০ লাখ টাকা হলে গরুটিকে বিক্রি করবেন তিনি। এরই মধ্যে সিলেটের একজন ব্যাপারী ৮ লাখ টাকা দাম হেঁকেছেন।

খুলনা জেলার অতিরিক্ত প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অরুণ কান্তি মন্ডল বলেন, খড়, কুড়ো, ভূষির পাশাপাশি সয়াবিন খৈল খাওয়ালে বিশেষ কোনও মেডিসিন প্রয়োজন হয় না। আর জিনগতভাবেও বিশেষ গরু বিশেষ আকৃতির হয়ে থাকে। কায়নাথ শিকদারের গরুটি ফ্রিজিয়ান জাতের। যা স্থানীয়ভাবে ক্রস করা হয়েছে। এ জাতের গরু সাধারণত ১২শ’ থেকে ১৩শ’ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। ওই গরুটি জিনগত কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বেড়েছে।

চিতা বাঘ নামের ফ্রিজিয়ান জাতের গরু

কায়নাথ শিকদার বলেন, তার ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি রয়েছে। একটি বকনা ও একটি এই ষাঁড়। এ ষাঁড়টির বয়স সাড়ে ৩ বছর। এটির ৪ দাঁত। স্বাভাবিকভাবে এ জাতের গরু ২৮-৩০ মণ ওজনের হতে পারে। গরুটি বড় করার ক্ষেত্রে তিনি স্বাভাবিক খাবার খড়, কুড়ো, ভুষি, গম ভাঙ্গা, খৈলসহ নিত্য খাবারই খাইয়েছেন। মোটাতাজা করণের বিশেষ কোনও পদ্ধতি তিনি ব্যবহার করেননি। সিলেট থেকে আসা একজন গরু ব্যাপারী এটির দাম ৮ লাখ টাকা বলেছেন। ১০ লাখ টাকা হলে ছেড়ে দেবেন।

চিতা বাঘ নামের ফ্রিজিয়ান জাতের গরু
তেরখাদা উপজেলার ভেটেরনারী সার্জন জহিরুল ইসলাম বলেন, তেরখাদা উপজেলায় ৪ হাজার গরু ও আড়াই হাজার ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ দিয়ে তেরখাদার চাহিদা পূরণ করে বাইরে বিক্রি করা সম্ভব হবে।
তেরখাদার খামারি কাশেম আলী বলেন, প্রতি বছরই গরু বিক্রি করা হয়। এবার দামের পাশাপাশি বিক্রি নিয়েও শঙ্কিত তিনি।

চিতা বাঘ নামের ফ্রিজিয়ান জাতের গরু
বটিয়াঘাটার খামারি সুমন হোসেন বলেন, অনেকেই অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু খামারিরা হাটে গরু বিক্রি না করতে পারলে তুষ্ট হয় না।

খুলনা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এস এম আউয়াল হক বলেন, এ বছর চাহিদা অনুযায়ী কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। হাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও ক্রেতা বিক্রেতাদেরকে মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হবে।

জানা গেছে, খুলনায় এ বছর ৬ হাজার ৮৯০ খামারে প্রস্তুত করা রয়েছে ৪৫ হাজার ১৪৮টি পশু। গত বছরের তুলনায় এবার খুলনায় খামারের সংখ্যা কমেছে ১ হাজার ১১১টি কমেছে।