নিখোঁজের ১০ দিন পর মিললো স্কুলছাত্রের গলিত মরদেহ

নিহত স্কুলছাত্র স্কুলছাত্র মইনুর রহমাননিখোঁজের ১০ দিন পর সাতক্ষীরা সদরের বাঁকালের একটি ইটভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে স্কুলছাত্র মইনুর রহমানের (১৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৫টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাকালের আব্দুস সবুরের পরিত্যক্ত ইটভাটার একটি সেফটি ট্যাংক থেকে পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত মইনুর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাঁচরকী গ্রামের সুরত আলীর ছেলে। সে মির্জানগর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
গ্রেফতারকৃতের নাম হুমায়ুন কবীর (৩৬)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের ওয়াহেদ সরদারের ছেলে।


গ্রেফতারকৃত হুমায়ুন কবীরমইনুর রহমানের ভাই শাহীনুর রহমান জানান, তার ভাই মইনুর মির্জানগর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়তো। মাঝে মাঝে সে ইজিবাইক চালাতো। গত ৩১ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইজিবাইক নিয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। সারা রাত খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না মেলায় ১ আগস্ট (ঈদের দিন) তার চাচা আফছার আলী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ২০) করেন। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে শহরতলীর বাঁকালে আব্দুস সবুরের পরিত্যক্ত ইটভাটার সেফটি ট্যাংক থেকে পুলিশ মইনুরের গলিত লাশ উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাউদ্দিন বলেন, ৩১ জুলাই বিকালে মইনুর ইজিবাইক নিয়ে সাতক্ষীরা শহরে আসেন। তারপর আর বাড়ি ফিরেননি। ১ আগস্ট মইনুলের চাচা আফছার আলী থানায় জিডি করেন। জিডির সূত্র ধরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সোমবার সকালে পুলিশ সাতক্ষীরার আলীপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে হুমায়ুন কবীর (৩৬) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মইনুর রহমানের পঁচাগলা লাশ ও

ব্যবহৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।