জেলার বাগাডাঙ্গা গ্রামের আবু বকর গাছী জানান, খেজুরের রস পেতে হলে বেশ কিছু কাজ করতে হয়। প্রথমে গাছের বাকল কেটে গাছ ঝোড়া শেষে গাছ কাটার পালা। গাছের উপরিভাগের নরম অংশকে কেটে সেখানে বসিয়ে দেওয়া হয় বাঁশের তৈরি নালা। আবার পাখিরা যাতে রস না খেতে পারে আর কোনও জীবাণু না ছড়াতে পারে সেজন্য আবার জাল বিছাতে হয়। গাছের কাটা অংশ থেকে চুইয়ে চুইয়ে রস এনে নল দিয়ে ফোটায় ফোটায় জমা হয় ভাড়ে।
একবার গাছ কাটার পর ২-৩ দিন রস পাওয়া যায়। রসের জন্য গাছ একবার কাটার পর ৪-৬ দিন বিশ্রাম দেওয়া হয়। রোদে কাটা অংশ শুকিয়ে গেলে আবার ওই অংশ চেছে রস সংগ্রহ করা হয়। আর এ কারণেই সাধারণত খেজুর গাছ পূর্ব ও পশ্চিম দিকে কাটা হয়, যাতে সূর্যের আলো সরাসরি ওই কাটা অংশে পড়তে পারে।
ধান্যঘরা গ্রামের হাসান গাছি জানান, এখন আর আগের মতো ব্যস্ততা নেই। প্রতিবছর ইটভাটায় জ্বালানির জন্য হাজার হাজার খেজুর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। কিন্ত যেহারে গাছ কাটা হচ্ছে সে তুলনায় রোপণ করা হচ্ছে না।
সদর উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের কাছেদ আলী গাছি জানান, তিনি ২০০ গাছ কাটার প্রস্তুতি নিয়েছেন। প্রতি কেজি গুড় ১০০ টাকা কেজি দরে প্রতিদিন ২০০০ টাকার গুড় বিক্রি করতে পারবেন।