দরিমাগুরা ছানা বাবুর বটতলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব সাহা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনকারী ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা। শারদিয়া দুর্গা পূজার এক মাসের মধ্যেই এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ এই উৎসব উপভোগ করেন। এ বছর করোনার কারণে সীমিত আকারে আয়াজন করা হচ্ছে।
কলেজছাত্রী ফারহানা সুলতানা বলেন, কাত্যায়নী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও আমাদের কাছে এটি একটি উৎসব। সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে গিয়ে আমরা সবাই এ উৎসব উপভোগ করি।
শহরের নতুন বাজার এলাকার অধিবাসী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মিতুল দাশ বলেন, কাত্যায়নী উৎসবকে ঘিরে প্রতি বছর বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজনরা আমাদের বাড়িতে আসেন। এ বছর সে সব কিছুই নেই। এমন কাত্যায়নী পূজা আগে দেখিনি।
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদ্যুৎ কুমার সিংহ বলেন, প্রতি বছরের মত এ বছরও মাগুরায় কাত্যায়নী পুজা চলছে। এ বছর মাগুরা পৌরসভায় ১৬টি, সদর থানায় ২৯টি, শ্রীপুরে ১৩টি, মহম্মদপুর ১১টি, শালিখায় ২৩টিসহ মোট ৯২টি মণ্ডপে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে কোভিড-১৯ এর কারণে আয়োজন সীমিত করতে বলা হয়েছে।
মাগুরা জেলা পুশিল সুপার খান মহম্মদ রেজওয়ান বলেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কাত্যায়নী পূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে পূজামণ্ডপে আসার আহ্বান জানান তিনি।