দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে হেফাজত তাণ্ডব চালিয়েছে: লেখক

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে হেফাজত তাণ্ডব চালিয়েছে। পাকিস্তানি মদদপুষ্টদের সরাসরি অর্থায়নে তারা এ কার্যক্রম চালাচ্ছে। সারাদেশে যেখানেই তারা অরজাকতা চালাবে, সেখানেই ছাত্রলীগ প্রতিহত করবে। এ জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।’

সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে নিজ জেলা যশোর সফরকালে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি যশোর এসে পৌঁছান। এর আগে ছাত্রলীগের স্ব স্ব নেতাকর্মী ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাকে অভ্যর্থনা জানাতে শহরের বকুলতলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে অবস্থান নেন। তারা ছাত্রলীগ সেক্রেটারিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরে বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর লেখক ভট্টাচার্য জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দরে সঙ্গে নিয়েও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা ছাত্র ও তরুণসমাজ আসলেই খুব হতাশ। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম; সেই স্বাধীনতার ৫০ বছর আজ উদযাপন করছি। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ৭১’র স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বাংলাদেশকে খারাপভাবে বহির্বিশ্বের কাছে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। ৭৫ সালে তারা জাতির জনককে হত্যা করে বিশ্বের বুকে আমাদের বিশ্বাসঘাতকের লেবাস লাগিয়ে দিয়েছিল। ঠিক সেইভাবে আজকে যখন সারাবিশ্ব থেকে সরকারপ্রধানরা এ দেশে আসছেন ১০দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তির উৎসব পালন করতে তখন তা ভণ্ডুল করতে এবং বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে হেয়প্রতিপন্ন করতে হেফাজতিরা উঠেপড়ে লেগেছে।’

তিনি বলেন, ‘একটি অগোছালো অবস্থায় ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এরপর করোনার কারণে সবকিছু থমকে যায়। কিন্তু ছাত্রলীগ বসে থাকেনি, মানবিক ও সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ। যশোরে দুই বছর ধরে কমিটি নেই। তারপরও কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। এটা স্পষ্ট ছাত্রলীগ নেতা হওয়ার জন্য নয়, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের সেবার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান শেষে লেখক ভট্টাচার্য যশোর পৌর নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী হায়দার গণি খান পলাশের পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন। এরপর তিনি নিজগ্রাম মনিরামপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হন।