মুন্সীগঞ্জে কৃষিকাজ করতে গিয়ে একজন ও জেলা সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে কাজে এসে আরেকজন ‘গরমে অসুস্থ হয়ে’ মারা গেছেন। একই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও চার জন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে পৌরসভার মোল্লারচর এলাকা ও জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুজন হলেন আব্দুল বাতেন মাঝি (৬০) এবং ওমর আলী (৬৫)। বাতেন মুন্সীগঞ্জ সদরের মানিকপুর এলাকার ওলিউল্লাহ মাস্টারের ছেলে। ওমর পৌরসভার মোল্লারচর এলাকার বাবু বারী হাজারীর ছেলে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল বাতেনকে হাসপাতালে আনা হয়। এরপর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় ওমর আলীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
স্বজন ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে আসেন বাতেন। এ সময় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে উপস্থিত লোকজন মাথায় পানি ঢেলে হাসপাতালে নিয়ে যান। আর কৃষিজমিতে সেচ দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওমর। স্বজনরা তাকে হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয়। বিকালে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, ওমর আলী কৃষিজমিতে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর আব্দুল বাতেন সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সামনে অসুস্থ হন। তাদের মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনেন স্বজনরা।
তাদের শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছে ‘হিটস্ট্রোকে’ মারা গেছেন জানিয়ে আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল আরও বলেন, আরও চার জনকে হিটস্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং একজনকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।