সুন্দরবনে নিরাপত্তা জোরদার, কর্মীদের কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ

ঈদকে সামনে রেখে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ রক্ষায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। ইতোমধ্যে বন বিভাগ থেকে বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির কর্মীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ যাতে কোনও প্রকার বনজ সম্পদ ধবংস করতে না পারে, তার জন্য পুরো সুন্দরবনে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের হরিণ শিকার, অবৈধভাবে গাছ কাটা এবং বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে গত ৬ মে বেলা ১১টায় খুলনা রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে (নলিয়ানে) এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশেষ টিম গঠন করে টহল জোরদার করাসহ প্রতিটি স্টেশনে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

খুলনা রেঞ্জের এসিএফ মো. সালেহ'র সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রেঞ্জ সহযোগী কাজী মাহফুজুল হক, বানিয়াখালি স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল, কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা আ. হাকিম, কালাবগি স্টেশন কর্মকর্তা মনির হোসেন, নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন, সুতারখালি স্টেশন কর্মকর্তা প্রেমা নন্দ মন্ডল, নিলকোমল বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান, হড্ডা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তারা।

সভায় জানানো হয়, ঈদকে সামনে রেখে এক শ্রেণির চোরাকারবারিরা সুন্দরবনের কাঠ পাচার করে আর্থিক ফায়দা লুটে থাকে। এছাড়া অসাধু শিকারী চক্র হরিণ নিধনযজ্ঞে মেতে ওঠে। অন্যদিকে সুযোগ বুঝে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে থাকে অসাধু জেলেরা। এ বছর এ সুযোগ যাতে কাজে না লাগাতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে বন বিভাগ থেকে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।

খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. আবু সালেহ বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়িতে কর্মরত বন বিভাগের স্টাফদের কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করতে ও টহল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া স্মার্ট টিমের পাশাপাশি রাত-দিন বিভিন্ন স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির সমন্বয়ে গঠিত টিম সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় টহল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. মো. আবু নাসের মোহসিন হেসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে সুন্দরবনের পুরো এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন টহল কার্যক্রম তদারকির পাশাপাশি সুন্দরবনে নিজেই টহল কার্যক্রম চালাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান বলেন, অন্য বছর ঈদের সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ ছুটিতে বাড়িতে যায়, আরেকটি অংশ বন পাহারা দেয়। এ বছর সবাইকেই কর্মস্থলে থাকার এবং টহল জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে।