ভারত থেকে ফিরলেন আড়াই হাজার বাংলাদেশি, পজিটিভ ১৪ জন

করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এ পর্যন্ত ভারত থেকে ফিরেছেন ২ হাজার ৫৬০ জন বাংলাদেশি যাত্রী। এদের মধ্যে ১৪ জন ছিলেন করোনা পজিটিভ। আক্রান্তরা ভারতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হন। তাদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রাখা হয়েছে।

শনিবার (৮ মে) যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউছুফ আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে চিকিৎসা শেষে ভারতফেরত অসহায় যাত্রীদের ভোগান্তি ও অর্থ খরচ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলা প্রশাসনের করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

জটিল রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থাসহ যানবাহন ও হোটেল খরচ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হোটেল ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে হোটেল মালিকদের।

ইমিগ্রেশনে দালাল শ্রেণির বহিরাগতদের প্রবেশ রোধেও জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। সকালে বেনাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও ইমিগ্রেশন ভবনে সাঁটানো এমন নোটিশ চোখে পড়ে।

শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলীফ রেজা জানান, ভারতফেরত যাত্রীরা যাতে দালাল শ্রেণির মানুষের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয় এ জন্য ইমিগ্রেশন ও বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে ব্যানার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত যাত্রীদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র পরীক্ষা করে হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার বিচিত্র মল্লিক জানান, শনিবার (৮ মে) ভারত থেকে একজন করোনা পজিটিভসহ ৮৫ জন ফিরেছেন। গত শুক্রবার পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ছিল। এরা ভারতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্ত যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে ও সাধারণ যাত্রীদের যশোর, খুলনা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের ১৪ দিন হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারতের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের ভ্রমণ সীমান্ত পথে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে নতুন করে কোনও পাসপোর্টধারী যাত্রী দুদেশের মধ্যে যাতায়াত করেনি। তবে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আটকা পড়েছিল তারা ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরছেন।