সাতক্ষীরা লকডাউন

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরায় সাত দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী শনিবার (৫ জুন) সকাল ৬টা থেকে এ লকডাউন কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল।

এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ৩৩ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খোদা।

সভায় বলা হয়, সাতক্ষীরার মানুষ সচেতন হচ্ছে না। অধিকাংশ মানুষ মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে না। ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়েও মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশিরা দেশে ঢুকছেন। ফলে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তাই আগামী শনিবার থেকে সাত দিন লকডাউনে থাকবে সাতক্ষীরা। প্রয়োজনে লকডাউনের সময় বাড়বে।

জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, লকডাউনের সময় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকবে। তবে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বিপণি বিতানসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সাধারণ মানুষের চলাচল ও ভিড় এড়ানোর জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চলাচল সীমিত করা হবে। জেলার সঙ্গে যশোর ও খুলনাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের সংযোগস্থলে পুলিশ চেকপোস্ট থাকবে। সীমান্তে পারাপার বন্ধ থাকবে। শহরে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শনিবার থেকে সাত দিন জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। মে মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে এ হার ছিল ১২-১৩ শতাংশ। মে মাসের শেষ সপ্তাহ এ হার ছিল ৪১ শতাংশ। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশে। ফলে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত এলো।