৩৩ লাখ টাকার চিনি গায়েবের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

কুষ্টিয়া চিনিকলের গুদাম থেকে ৫২ টন চিনি গায়েবের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

রবিবার (০৬ জুন) মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্যরা সোমবার (০৭ জুন) কুষ্টিয়া সুগার মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে এই ঘটনায় শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও তদন্ত কমিটি গঠন করে মিল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি গুদামের দায়িত্বে থাকা স্টোরকিপার ফরিদুল হককে বরখাস্ত করা হয়।

জিডিতে গায়েব হওয়া চিনির পরিমাণ উল্লেখ করে হয়েছে ৫২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন; যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৩ লাখ ২০ হাজার ১০০ টাকা। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন এবং স্টোরকিপার ফরিদুল হককে বরখাস্তের বিষয়টিও জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, থানায় জিডি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) খোরশেদ আলম বলেন, আখ মাড়াই বন্ধ থাকা চিনিকলটি ৫৪৫ কোটি টাকা লোকসানে রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, মজুরি এবং চাষিদের পাওনা ও বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের বকেয়াসহ দেনার দায় জমেছে ২৪ কোটি টাকা। এরই মধ্যে চিনি গায়েবের ঘটনা ঘটে। মিলের এখন স্থায়ী কর্মী ৩৯৬ জন। এর মধ্যে ২৩ জন কর্মকর্তা। বাকিরা কর্মচারী ও শ্রমিক।

তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে চিনিকলে মাড়াই বন্ধের সময় প্রায় সাড়ে তিন হাজার টন চিনি ছিলো। এখন রয়েছে ৭৩৭.৫৫ মেট্রিক টন। যার মূল্য প্রায় চার কোটি ৪২ লাখ টাকা। কলে চিটাগুড় রয়েছে দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন, যার মূল্য প্রায় ছয় কোটি ৬০ লাখ টাকা। এগুলো ডিসেম্বরের পর থেকে আর বিক্রি হয়নি।

কুষ্টিয়া শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে জগতি এলাকায় ১৯৬১ সালে শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে কারখানায় চিনি উত্পাদন শুরু হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার চিনিকলটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে।