রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ও ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে এ তদন্ত কমিটি গঠন করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আজাদুল হক আজাদ। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবু তালেহ। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে ডা. মনোয়ার তারিক সাবু, ডা. মোরশেদ জামান মিয়া এবং বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের তিন জন প্রতিনিধি রয়েছেন কমিটিতে।
বিএসসি ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দাবি নিয়ে আলাদা কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী নার্সিং কলেজের অডিটোরিয়ামে এক সভায় যান রামেক হাসপাতালের কয়েকজন ডিপ্লোমা নার্স ও নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা ইন নার্সিংয়ের শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিএসসি ইন নার্সিংয়ের শির্ক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারি হয়। দুই পক্ষের হামলা, পাল্টা হামলা ও মারধরে ১০ জন আহত হন। এ সংঘর্ষের পর বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তবে রাজশাহী নার্সিং কলেজের বিএসসি ইন নার্সিং (বেসিক) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাননি। তাদের দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে অবস্থান করে তারা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেছেন। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা রামেক হাসপাতালে কর্মরত হামলাকারী ডিপ্লোমা নার্সদের শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে বিএসসি ইন নার্সিং শিক্ষার্থীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে নার্সরা দাবি করেন, গত মঙ্গলবার রাজশাহী নার্সিং কলেজে বিএসসি ইন নার্সিং শিক্ষার্থীরা পরিকল্পিতভাবে ডিপ্লোমা নার্স ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। তারাও এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।