গুলিতে নিহত ৩ জনকে দাফন করলেন স্বজনরা

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়ের গুলিতে নিহত তিনজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) বাদ জোহর তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন স্বজনরা।

এর আগে সকাল ৮টায় স্বজনদের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করে পুলিশ। দুপুরে জানাজা শেষে আসমা ও তার ছেলে রবিনকে কুমারখালীর বাগুলাট ইউনিয়নের নাথুরিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। আর শাকিল খানকে চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা গ্রামে দাফন করা হয়।

একই দিন দুপুর ১টার দিকে কুষ্টিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হকের খাস কামরায় স্ত্রী ও সৎ ছেলেসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেন সৌমেন রায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক সঞ্জয় রায় বলেন, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন সৌমেন রায়। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

রবিবার দুপুরে শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে স্ত্রী ও সৎ ছেলেসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেন সৌমেন রায়। ঘটনার পর সৌমেন রায়কে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা।

নিহতরা হলেন কুমারখালী উপজেলার নাথুরিয়া বাশগ্রামের আমির আলীর মেয়ে সৌমেন রায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা খাতুন (৩০) এবং শিশুসন্তান রবিন (৬) ও সাঁওতা গ্রামের শাকিল খান (৩৫)।

এ ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। খুলনা রেঞ্জের দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কুষ্টিয়ার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে।