শার্শায় ৩০ নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত ২২, কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বেনাপোলসহ যশোরের শার্শা উপজেলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুন) এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে বিকেল ৫টার পর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ ১২টি কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা বলেন, উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘরের বাইরে এবং জনসমক্ষে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বিকেল ৫টার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। মোটরসাইকেলে একজন ও ইজিবাইকে দুইজনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। সব ধরনের গণজমায়েত, সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হোটেল রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না এবং চায়ের দোকানে বেঞ্চ, ক্যারাম বোর্ড ও টেলিভিশন রাখা যাবে না। বিনা কারণে সন্ধ্যা ৬টার পরে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শার্শায় ৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের শতকরা হার ৭৩.৩৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৬২১ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন করোনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে। বন্দর কেন্দ্রিক যাত্রীর কথা ভেবে গত ১৮ মে করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে মেশিন বসানো হয়েছে। এখন এখানেই ‘র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন’ পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এরপরও অনীহার কারণে সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে টেস্টের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় টেস্টের জন্য আসছেন তাদেরকেই কেবল পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে এ সংখ্যাও কম না বলে জানান তিনি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভারত থেকে ৩২ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এ নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ভারত থেকে পাঁচ হাজার ২৩৯ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী বাংলাদেশে ফিরেছেন। কোভিড পজিটিভ সনদ নিয়ে ফিরেছেন ১৩ জন। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৪৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ৬ জনের শরীরে মিলেছে করোনার ভারতীয় ধরন। ভারতে কখনও যাননি, যশোরের এমন মানুষের শরীরেও মিলেছে ভারতীয় ধরন।