খুলনায় এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন

করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনায় আগামী মঙ্গলবার (২২ জুন) থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন ছাড়া কোনও গণপরিবহন খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ‘কঠোর লকডাউন চলাকালে খুলনা মহানগর ও জেলায় গণপরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। শুধু ওষুধ এবং জরুরি কাঁচামাল ব্যতীত সব দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিকরা একসঙ্গে কাজ করবেন।’

তিনি আরও জানান, খুলনা জেনারেল হাসপাতালকে ৭০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এটি আগামী রবিবার থেকে চালু হবে। করোনা শনাক্তের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। কঠোর লকডাউন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে অবহিত করা হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকবে।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সভায় জুম প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত ছিলেন– মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা ও সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।

সভায় খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এসএম ফজলুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান, মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক এমডিএ বাবুল রানা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মো. মাহবুব আলাম সোহাগ, জেলার সরকারি কর্মকর্তা, কমিটির সদস্যসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।