মৃত্যুর দুই মাস পর শিক্ষিকার দুর্নীতির তদন্তে দুদক

খুলনা জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মালেকা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২০ এপ্রিল মারা গেছেন। মৃত্যুর দুই মাস পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অবৈধভাবে ছাত্র ভর্তির মাধ্যমে অর্থ অর্জনের অভিযোগ এনেছে দুদক। চার বছর আগে অবসর নিয়েছেন মালেকা বেগম।

দুদকের খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ নগরীর বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি দিয়ে মালেকা বেগমের নামে অ্যাকাউন্টের হিসাব তলব করে চিঠি দিয়েছেন।আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তার ব্যাংক হিসাবসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্রের ফটোকপি দুদক কার্যালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের খুলনার সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।

মালেকা বেগমের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, জিলা স্কুলে চাকরিকালীন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন ও অবৈধভাবে ছাত্র ভর্তির মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানের জন্য দুদকের খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালেকা বেগম চার বছর আগে জিলা স্কুল থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নিয়েছেন। এর আগে তিনি সরকারি করনেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও খুলনা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবসর নেওয়ার পর কেসিসি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দারোগা পাড়ার আজিজুর রহমান রোডের মোহাম্মদ বিল্লা ভবনে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। তার ৬৭ বছর জীবনের সিংহভাগ সময় কেটেছে খুলনা নগরীতে। মৃত্যুর পর তার লাশ মাদারীপুরের শিবচরে দাফন করা হয়েছে।